সম্মানিত ময়মনসিংহ বাসী,
অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলতে হচ্ছে যে ময়মনসিংহের উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা আবার ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন। একই ষড়যন্ত্রের কারনে হারালাম বিমানবন্দর। যা নাকি হচ্ছে অন্য কোথাও। হারালাম বৃহৎ ক্যান্টনম্যান্ট যা এখন হয়েছে টাঙ্গাইলে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিলো ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর। ব্রাহ্মপুত্র নদে হবে তিনটি আরও সড়ক শেতু। রেললাইন চলে যাবে চুরখাই দাপুনিয়া হয়ে কালির বাজার। মুক্তাগাছার বিদ্যুৎ কেন্দ্র টি উল্টা পাল্টা প্রচার এবং বাঁধার কারনে চলে গেলো জামালপুরে।
একটি গোষ্ঠী ত্রিশাল এর বিমানবন্দর এর সময় এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের কাজ আরম্ভের সময় একটি ছোট্টো শিশু কে দুই হাতে তুলে ধরে লেখা হলো জমি নিয়ে গেলে এ শিশু যাবে কোথায়? এভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে উন্নয়ন ব্যহত করা হলো।
ময়নসিংহ শহরের একমাত্র বড় খেলার মাঠ সার্কিট হাইজ ময়দান সেটির আধুনিকায়ন হবে। মাঠ টিকে ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার উপযোগী করা হবে পরিকল্পিত ভাবে। মাঠটির চারদিক দিয়ে একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ওয়াকওয়ের বাইরের দিকে বৃক্ষরাজি ঠিক রেখে আড়াই ফুট উঁচু দেয়াল এর উপর গোল পাইপ এর বেষ্টনী দেওয়া হবে। ওয়াক ওয়ের সাথে থাকবে আলোকবর্তিকা।
সার্কিট হাউজ মাঠের এক কর্নারে নির্মাণ করা হবে আমাদের মহান নেতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধু পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল এর গুরুত্বপূর্ণ মোরাল যাতে ময়মনসিংহের সর্ব সাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে।
মাঠের ভিতরে ওয়াক ওয়ের সাথে খেলোয়াড়দের বসার স্থান থাকবে চারটি। বিভিন্ন দিক দিয়ে বড় ছোটো মিলিয়ে আটটি গেইট থাকবে। যা প্রয়োজন মতো খোলা থাকবে। মাঠের ভিতরে গরু ছাগলের কোনো প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। গরুর হাট এর স্থান পরিবর্তন হবে।
এই উন্নয়নটির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। প্রাণ প্রিয় ময়মনসিংহ বাসী শেখ হাসিনা সরকারের এই উন্নয়ন যাতে ব্যহত না হয় তার প্রতি সোচ্চার দৃষ্টি দিন।
একটি বিশেষ কথা এই কিছুক্ষণ আগেই আমার দলের এক সংগঠক আমাকে মোবাইলে বললো মোয়াজ্জেম ভাই সার্কিট হাউজ মাঠে নাকি কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে? আমি শুনে অবাক! তারপর তাকে বুঝিয়ে সবকিছু বল্লাম। সে বললো ওকে বস।
এই হলো অবস্থা।