আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনে গ্রেফতারি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতি। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশিদারিত্বমূলক নির্বাচনের জন্য আইনজীবী সমিতি নির্বাচন কমিশনের প্রতি এ দাবি জানান।
আজ সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সুপ্রিম কোটের সিনিয়র আইনজীবী ও আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তারা বলেন, দেশের প্রতিটি আসনে সেনা বাহিনী মোতায়েন ছাড়া কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ নাস রিন আক্তার, জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সদস্য মাহফুজ বিন ইউসুফ, মো. আহসান উল্লাহ ও মেহেদী হাসান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের যে ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তারা সেখানে ব্যর্থ। বরং প্রশাসনের কাছে তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ২৪ ডিসেম্বর নয় কাল থেকেই গ্রেফতারি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন করতে হবে।
আইনজীবী সমিতির লিখিত বক্তব্যে আরো বলো হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের পঞ্চাশ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনের নির্বাচনী সভাতেও হামলা করা হয়েছে।
আইনজীবী সমিতি এসকল হামলার নিন্দা জানায়। এবং হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্তিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের সভাপতি মনির হোসেনসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ই ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বরিশাল ও নোয়াখালি থেকে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।