জামালপুরে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েকশ একর পাকা ধান, পাট, আখ, কাউন, বিভিন্ন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইসলামপুরের চিনাডুলির কৃষক আনোয়ার জানান, খেতের পাকা ধান আগাম ব্যন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিকের অভাবে মাঠের পাকা ধান কাটতে পারছেন না।
একই এলাকার আসলাম রহিমুদ্দিন জানান, বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খেতের পাকা ধান তলিয়ে গেছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে চিকাজানী, চিনাডুলি, সাপধুরি ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, এবার আগাম বন্যায় কৃষকের ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আর যেভাবে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে তাতে কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধিতে এ জেলার ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আর যমুনার পানি এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। এ বন্যায় কৃষকের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।