ব্রাজিল ও মেক্সিকোয় গির্জায় সহিংস ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। ব্রাজিলের একটি গির্জায় গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়ছে। দেশটির প্রতিবেশী ব্রাজিলের অপর একটি গির্জায় নিস্ফোরণে আটজন নিহত হয়েছে। উভয় সহিংস ঘটনায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। গতকাল ও মঙ্গলবার এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটে।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের কাছে অবস্থিত একটি ক্যাথলিক গির্জায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ৪৯ বছরের এক বন্দুকধারী সেখানে গুলিবর্ষণ করে চারজনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। তাদের দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলা ও হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত বন্দুকধারী বা নিহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
মেট্রোপলিটন ক্যাথেড্রাল নামের গির্জাটি ব্রাজিলের সবচেয়ে জনবহুল শহর সাও পাওলোর কাছেই অবস্থিত ক্যামপিনাস শহরে অবস্থিত। পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরের প্রার্থনার পরপরই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। ৪৯ বছরের এক বন্দুকধারী নিজের আসন থেকে উঠে সাথে থাকা পিস্তল ও রিভলবার দিয়ে গুলি চালাতে থাকে। বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার পর নিজের গুলিতে নিহত হয় সে। তাৎক্ষণিকভাবে হামলার কারণ জানা যায়নি।
বন্দুকধারী প্রথমে পেছনের বেঞ্চে থাকা লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করলেও পরে সে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুলিবিদ্ধদের বেশির ভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ। ব্রাজিলে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৫ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলো হরিজোনতে শহরে একটি স্কুলে বন্দুকধারী হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ দিকে মেক্সিকোর একটি চার্চে মঙ্গলবার শোভাযাত্রা চলাকালে আতশবাজি বিস্ফোরণে আটজন নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়। মেক্সিকো সিটির প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের তেকুইস্কুয়াপানের সান জোসেতে ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিস্ফোরণে আটজন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১১ ও ১২ বছরের দু’টি শিশু রয়েছে। কুয়েরেতারো রাজ্যের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল বাসতারাচেয়া বলেন, ‘উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা আতশবাজি নিয়ে আসেন এবং সেগুলো চার্চে রাখেন। সম্ভবত কোনো ত্রুটির কারণে এগুলো আকস্মিকভাবে বিস্ফোরিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা যায় ধর্মীয় ওই শোভাযাত্রাটি চার্চের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।