ঢাকাFriday , 29 May 2020
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লিবিয়ায় গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ৮ জনের বাড়িই কিশোরগঞ্জে

Link Copied!

লিবিয়ায় গুলিতে নিহতলিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৪ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। এরমধ্যে ৮ জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এছাড়া পাচারকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসীর। নিহতদের লাশ দেশে আনার পাশাপাশি দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে লিবিয়ায় পাড়ি জমান কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন আকাশ। কিন্তু পাচারকারীদের গুলিতে প্রাণ গেলো তার। পরিবারের সবচেয়ে আদরের ছোট সন্তানের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা-মা।

স্বজনরা জানান, লিবিয়ায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করার সময় আকাশের সঙ্গে পরিচয় হয় ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের দালাল তানজিমুলের সঙ্গে। ওই দালালের মাধ্যমে আকাশসহ ৩৮ বাংলাদেশি ইটালির পথে রওয়ান হন। ১৫ দিন আগে লিবিয়ার বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলী নেয়া হচ্ছিল তাদের। পথে মিজদাহ শহরে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে সবাইকে জিম্মি করে মানবপাচারকারী চক্র। জিম্মি অবস্থায় তাদেরকে অত্যাচার, নির্যাতন করার এক পর্যায়ে অভিবাসীদের হাতে এক পাচারকারী মারা যায়। এরই জেরে অভিবাসীদের দিকে বৃহস্পতিবার এলোপাতাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই আকাশসহ ২৬ বাংলাদেশি মারা যান।

আকাশের ভাই বলেন, আমারে ভাই বার বার প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছে। ১০ হাজার ডলার চেয়েছে, এত টাকা আমরা কিভাবে দেব? তারা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। আমার ভাই বার বার প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও রক্ষা পেল না।

একই ঘটনায় নিহত ভৈরবের সোহাগ মিয়া, মাহবুব হোসেন, সাকিব মিয়া, মামুন মিয়া, মোহাম্মদ আলী, জানুমিয়াসহ ৭ জনের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। পরিবারের সুখের জন্য জমি বিক্রি ও ঋণ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা। দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে সব স্বপ্ন ভেঙে গেলো তাদের পরিবারগুলোর। এখন সন্তানের লাশ দেশে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। পাশাপাশি দাবি জানালের দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।

নিহতদের লাশ দেশে আনাসহ দালালদের শাস্তি নিশ্চিতে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির বাকিদের মধ্যে আসাদুল-আয়নাল-মনির-সজীব-শাহীন টেকেরহাটের, সুজন-কামরুল গোপালগঞ্জ, রহিম হোসেনপুরের, জুয়েল-মানিক বিদ্যানন্দী, জাকির-জুয়েল-শামীম-সৈয়দুল-ফিরোজ মাদারীপুরের, আরফান ঢাকার, লাল চান্দ নারায়ণপুর, রাকিবুল যশোরের।

আহত ১১ জন হলেন- মাদারীপুর সদরের তীর বাগদি গ্রামের ফিরোজ বেপারী (হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ), ফরিদপুরের ভাঙ্গার দুলকান্দি গ্রামের মো. সাজিদ (পেটে গুলিবিদ্ধ), কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শম্ভপুর গ্রামের মো. জানু মিয়া (পেটে গুলিবিদ্ধ), ভৈরবের জগন্নাথপুর গ্রামের মো. সজল মিয়া (দুই হাতে মারাত্মকভাবে জখম ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বামনডাঙ্গা বাড়ির ওমর শেখ (হাতে মারাত্মকভাবে জখম ও আঙ্গুলে কামড়ের দাগ, দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ), টাঙ্গাইলের মহেশপুরের বিনোদপুরের নারায়ণপুরের মো. তরিকুল ইসলাম (২২), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বেলগাছির খেজুরতলার মো. বকুল হোসাইন (৩০), মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ির মো. আলী (২২), কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সখিপুরের মওটুলীর সোহাগ আহমেদ (২০), মাদারীপুরের রাজৈরের ইশবপুরের মো. সম্রাট খালাসী (২৯) এবং চুয়াডাঙ্গার বাপ্পী (মস্তিষ্কে গুলিবিদ্ধ, গুরুতর অবস্থা)। এরা সবাই ত্রিপোলি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।