চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী রোববার প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফল ও ফলের পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন।
এরপর বেলা ১২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণ তুলে ধরবেন। গণমাধ্যম কর্মীদের সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত না হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথমবারের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে না। শুধু ডিজিটালি ফল প্রকাশ করা হবে। অনলাইনে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে এবং মুঠোফোনে ফল জানা যাবে। তাই পরীক্ষার্থীদের ফল জানার জন্য বা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনে বিদ্যালয়ে না যেতে নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষাবোর্ড।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা-২০২০ এর ফল রোববার প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এই মহামারীকালে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে নিম্নোক্ত নির্দেশাবলী মেনে ফল সংগ্রহ করতে হবে।
১. এ বছর এএসএসসি পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হবে না। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ফল প্রকাশের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না।
২. যারা এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল পেতে ইচ্ছুক তাদের ফলাফল প্রকাশের আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টায় এই রেজিস্ট্রেশন সময় শেষ হবে। প্রতিটি এসএমএসের জন্য দুই টাকা চার্জ নেওয়া হচ্ছে। এখানে যারা রেজিস্ট্রেশন করবে না তারা টেলিটক মোবাইল ফোন থেকেও ফল জানতে পারবে। শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হবে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সমকালকে বলেন,’এ পর্যন্ত ৯ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী ফল পেতে রেজিস্ট্রেশন করেছে। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে, ফলাফল প্রকাশের পর তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে সার্ভারের মাধ্যমে জিপিএ গ্রেডসহ সরাসরি ফল চলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের সবাই রেজিস্ট্রেশন করবে না, অনেকে ওয়েবসাইট ও টেলিটকের এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল জানবে। এ কারণে সবাই রেজিস্ট্রেশন না করলেও উদ্বেগের কিছু নেই।’
ফল প্রকাশের পর ঢাকা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করার জন্য পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন তিনি।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরস্বতী পূজা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় সারাদেশে ১০টি বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।