নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতুড়ী পেটা ও বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শেরকোল ও পুঠিমারী বাজারে পৃথক পৃথকভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও খরমকুড়ি শাহাবাজপুর ও চামারী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার মাইক ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
এ বিষয়ে আজ বুধবার সকালে সিংড়া উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে পৃথক পৃথক ৬টি লিখিত অভিযোগ করেছেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মন্টু।
বিএনপির লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুঠিমারী বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইসলাম সেন্টুকে হাতুড়ী পেটা করা হয়। শেরকোল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই হাতুড়ী হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
পরে প্রায় দুই ঘন্টা পর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিএনপি নেতা সৈয়দ ইসলাম সেন্টুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও শেরকোল বাজারে বিএনপি কর্মী আলতাব হোসেন ও নীলচোরা গ্রামের বিএনপি কর্মী বাবুকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। আর এসব ঘটনার নেতৃত্ব দেন শেরকোল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরিফ ও সুজন।
অপরদিকে সুকাশ ইউনিয়নের সুকাশ বাজারে সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মাহাবুরের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী মিলন ও মখলেছকে বেধড়ক মারপিট ও দোকান ভাংচুর করা হয়।
এছাড়াও শেরকোল ইউনিয়নের খরমকুড়ি শাহাবাজপুর ও চামারী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা মাইক ভাংচুর করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। ভাংচুর করার পাশিপাশি মাইকের ব্যাটারী ও মেমোরী কার্ড ছিনিয়ে নেয়া তারা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নিশ্চিত পরাজয় দেখে দুইদিনে তার প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করেছে। বিশেষ করে উপজেলার শেরকোল, সুকাশ, তাজপুর ও চৌগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বেশী করে হামলা ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি গভীর রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধামকি।
এসব বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর একাধিক অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আর এর জন্য সিংড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।