২০১১ সালে বাংলাদেশে প্রথম ট্রায়াল দিতে এসে ব্যর্থ। তবে ২০১৩ সালে তাকে জাতীয় দলের উপযুক্ত ঘোষণা করলেন ডাচ কোচ লর্ড উইগ ডি ক্রুয়েফ। সেই জামাল ভূঁইয়াই এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে স্প্যানিশ লা লিগের খেলা ধারাবর্ননা দিয়েছেন টিভিতে। এই ডেনমার্ক প্রবাসী এই মিডফিল্ডারের প্রচুর ফ্যান।
শুক্রবার জামাল ভূঁইয়াকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করে বাফুফে। এতে উঠে আসে নানা বিষয়। জামাল জানান, জাতীয় দলে তার স্মরনীয় ম্যাচ ২০১৮ জার্কাতা এশিয়ান গেমস ফুটবলে কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়টি। আর হৃদয় ভাঙ্গা কষ্ট, ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে সারাক্ষণ এগিয়ে থেকেও ৮৯ মিনিটের গোলে জয় বঞ্চিত হওয়া। সে সাথে উল্লেখ করেন, তার আদর্শ ফুটবলার ব্রাজিলে রোলানদো, রোনালদিনহো এবং ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। আর বাংলাদেশ দলের কোচদের মধ্যে জামালের প্রিয় জেমি ডে। কারন এই ইংলিশ খুবই দায়িত্বপূর্ণ।
তিন সিনিয়র ফুটবলার পুষ্ট বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল জার্কাতা এশিয়াডে ১-০ গোলে হারায় কাতারকে। যা লাল সবুজদের প্রথমবারের মতো নিয়ে যায় এশিয়ান গেমস ফুটবলের দ্বিতীয় রাউণ্ডে। গোল দাতা এই জামাল ভূঁইয়া। তার মতে, আমার শেষ সময়ের গোলেই জয় কাতারের বিপক্ষে। কাতারের মতো দলের বিপক্ষে অতিগুরুত্বপূর্ন এই জয়ই তাই আমার কাছে সবচেয়ে স্মরণীয়।
এরপর যোগ করেন ভারতের সাথে এবারের বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে যদি জিততে পারতাম তাহলে সেটিও হতো স্মরনীয়। এখন সেই ম্যাচটিই হয়ে গেছে আমার কাছে সবচেয়ে কষ্টের। ৮৫ মিনিটের সময়ও ধরে নিয়েছিলাম আমরা ম্যাচটি জিততে যাচ্ছি। তখনই ৮৯ মিনিটে কর্নার থেকে ভারত গোল করে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে দেয়।
এই ম্যাচের গুরুত্ব টেনে এনে জামাল বলেন, ম্যাচটি খেলতে ভারত যাওয়ার পর থেকেই ভারতীয়রা বলছিল, বাংলাদেশ ৩/৪ গোলে হারবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হলো বাংলাদেশ ৩/৪ গোলে হারলে আমরা খুশী থাকবো কিনা। তখন আমি বলেছিলাম, আমরা ভারতীয়দের হৃদয় ভেঙ্গে দেবো। গ্যালারী ভর্তি হাজার হাজার দর্শকের সামনে আমার ফ্রি-কিক থেকেই সাদউদ্দিনের হেডে লিড ।
এরপর জীবনের শট গোল লাইন থেকে ডিফেন্ডার রক্ষা না করলে ম্যাচে ২-০তে এগিয়ে যেতাম। অথচ শেষ পর্যন্ত ১-১ এ ড্র করতে হলো। ২০১৫ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে মালয়েশিয়ার কাছে ইনজুরি টাইমের গোলে ২-৩ গোলে হারের কষ্টটা আজো তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে।
তার দেয়া তথ্য, ২০১৩ সালে প্রথম যখন লালসবুজ জার্সী গায়ে খেলি তখন জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় আমার শরীরের সমস্ত লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে কোচ হওয়ার কথা জানান জামাল ভূঁইয়া। তার স্বপ্ন সাফে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবং র্যাংকিংয়ে আরো উপরে দেখা। লাল সবুজ জার্সীতে খেলতে চান আরো অনেক বছর।