পাকিস্তানে আবাসিক এলাকায় ৯৮ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ারবাসটির ধ্বংসাবশেষ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিধ্বস্ত বিমানটি থেকে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর- ডন অনলাইন। অপরদিকে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের(পিআইএ) বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। নিহতদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।
শুক্রবার করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে একটি মডেল কলোনিতে এ৩২০ এয়ারবাসটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি লাহোর থেকে করাচির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে জাফর মাসুদ নামে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও মেহাম্মদ জুবায়ের নামে অপর একজন যাত্রী রয়েছেন। বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রীর অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয়েছে। সিন্দু প্রদেশের তথ্য মন্ত্রী নাসির হুসায়েন শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এধি ফাইন্ডেশনের মুখপাত্র সাদ এধি জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫ জনের মরদেহ নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া আবাসিক এলাকার ২০-২৫ জন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিহত ও বেঁচে যাওয়া সংখ্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যায় না।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই সিন্ধু স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা কল্যাণমন্ত্রী করাচির সব বড় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
শাকিল আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিমানবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। পরে এটি আবাসিক ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে।