ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মরিচার চর (বটতলা) এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীকে সহযোগিতার জন্য সরকারের প্রায় কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবরে ঈশ্বরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমির) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ মতে জানা যায়, উল্লেখিত এলাকায় ত্রিশালের আবু বাশার নামে এক ব্যক্তি বালু মহাল ইজারা নেন। তার ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে বিগত ৩০ চৈত্র। কিন্তু ইজারাদার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার নদীর পার্শ্ববর্তী পাকা সড়ক, শত শত মানুষের বসত ভিটা হুমকির মুখে পড়েছে।
ফলে ২০ এপ্রিল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি সাঈদা পারভীন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রির ওপর মৌখিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন তিনি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ১১ মে তিনি ইজারাদারকে চিঠি দিয়ে বালু সরিয়ে নিতে বলেন। অবৈধভাবে উত্তোলিত প্রায় ১২ লক্ষ বর্গফুট বালু (যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা) যার মালিক রাষ্ট্র তথা জেলা প্রশাসক। কিন্তু সরকারি বালু নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার কথা থাকলেও উত্তোলিত বালু সরিয়ে নিতে বলে ইজারাদারকে চিঠি দিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা। আর এ সুযোগে সেই বালু বিক্রি করে দিচ্ছেন ইজারাদার। এতে সরকারের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হবে। অভিযোগকারীর দাবি সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদ সরকারিভাবে খনন কাজ চলমান থাকায় সরকারি আদেশে সব বালু মহালের ইজারা বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক আজ দুপুরে বলেন, ‘অভিযোগটি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রেরণ করা হবে।’