শেরপুরে চিকিৎসক, পুলিশসহ আরও ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদিকে জ্বর–সর্দির মতো করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত শুক্রবার শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ এসেছে। সব মিলিয়ে এই জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬।
সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, নতুন শনাক্তদের মধ্যে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা, জেলা বিশেষ শাখার (এসবি) একজন পুলিশ কনস্টেবল, নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ও একজন ফার্মাসিস্ট আছেন। এ নিয়ে জেলায় আটজন চিকিৎসকসহ ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ১৮ জন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।
জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সদরের ইউএইচএফপিও মোবারক হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্যসহ সদর উপজেলার তিনজন কোভিড–১৯ রোগী বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন।
নকলার ইউএইচএফপিও মজিবুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন।
শ্রীবরদীর ইউএইচএফপিও আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আক্রান্ত কোষাধ্যক্ষকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আর আক্রান্ত গৃহবধূ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন।
নালিতাবাড়ীতে আক্রান্ত তিনজনও বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন বলে সিভিল সার্জন জানান। সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে সামাজিক সংস্পর্শের কারণেই চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যসহ ওই ১০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।
গতকাল পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে ৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে।