করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি থাকার মতো অবস্থায় রয়েছে। যেতে পারছে না কোন পর্যটন স্পটে। এমন অবস্থায় চরম জীবন সংকটে পড়েছে মধুপুরের বনাঞ্চল ঘেঁষে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সন্তোষপুরের গজারী বনের অসহায় বানরগুলো। শুধু গজারি গাছের পাতা খেয়ে অনাহারি বানরগুলোকে জীবন বাঁচাতে হয়। পর্যটক না থাকায় ও অস্থায়ী দোকানপাট বন্ধ থাকায় অসহায় এসব প্রাণীর খাবার সংকট দিন দিন চরমে পৌঁছেছে। কোনো কোনো হৃদয়বান মানুষ এবং বিভিন্ন মানবিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ প্রাণীদের যা দেয়া হচ্ছে তা যৎসামান্য। এদের বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু খাবার প্রয়োজন-তার ন্যূনতমও পাচ্ছে না। পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে বানরগুলো দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে।
তবে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বানরগুলোর জন্য ২টন চাউল বরাদ্দ দেন। যা প্রতি দিন ২০ কেজি হারে বানরগুলোকে খাওয়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই হারে বানরগুলোকে প্রতিদিন সকাল ১০ কেজি ও বিকেলে ১০ কেজি করে খাবার দেওয়া হয় যা প্রয়োজনের তোলনায় সামান্য। বানরগুলো পযাপ্ত খাদ্য না পেয়ে আশ পাশের ফসলি জমিগুলোতে ফসলের ক্ষতি সাধন করছে।
এ ব্যাপারে বিট অফিসের বনপ্রহরী আয়ুব আলী জানান. আগে এই বানরের স্পটে লোকজন আসতো। খাবারে অভাব ছিল না। এখন ডিসি মহোদয়ের দেওয়া ২ টন চাউল পেয়েছি বানরের খাবার হিসাবে। সেগুলি প্রতিদিন সকাল ও বিকালে দিচ্ছি। তবে শীগ্রই সে খাবারও শেষ হয়ে যাবে।