গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় নতুন করে আরও ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জনই কেন্দুয়া ও তিনজন দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১১ জন। শনিবার (১৬ মে) রাতে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ১০ এপ্রিল। শনিবার রাত পর্যন্ত এক মাস ছয় দিনে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১১ জনের। এ পর্যন্ত মোহনগঞ্জে একজন পুরুষ (৫৬) ও মদনে একজন নারী (৬০) মারা গেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, নেত্রকোনায় এখন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা এখনো বাকি রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করে এসব করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, কেন্দুয়ায় গত পাঁচদিন ধরে করোনা রোগী বাড়ছে। উপজেলায় গত সোমবার (১১ মে) ছয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর দুদিন পর মাসকা ইউনিয়নের আরও এক যুবক (২৭) করোনায় আক্রান্ত হন। শনিবার আরও ১২ জন করেোনা আক্রান্ত হলেন। এ নিয়ে উপজেলাটিতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২৪ জনে দাঁড়ালো।
নেত্রকোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রামে ফিরে আসা লোকজনের ভূমিকা বেশি। আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্তদের ৬০ ভাগই নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফেরা পোশাক শ্রমিক। বাকিরা তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার ১৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় একদিনে এটিই সবচেয়ে বেশি শনাক্তের সংখ্যা। নেত্রকোনায় এ পর্যন্ত ১১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে অবশ্য ৩৮ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। আর দুজন মারা গেছেন।