ময়মনসিংহে বিয়ের ১৪ দিনের মাথায় লাশ হলেন গৃহবধূ

Dead-লাশময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের ১৪ দিনের মাথায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম আঁখি আক্তার (১৫)। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আঁখি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের বানাশ্রম গ্রামের আবদুল হান্নানের মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ছোট আঁখি। বাবা ও ভাইয়ের সাথে আঁখি নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় থাকতো। বাবা ও ভাই সেখানে একটি কারখানায় কাজ করতেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে আঁখিকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন বাবা। গত ৩০ এপ্রিল আঁখির বিয়ে হয় রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের মমিন হোসেনের ছেলে মাহাবুব মিয়ার (২২) সাথে। মাহাবুব পেশায় কৃষক।

স্বামীর সংসারে যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার আঁখির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আঁখির স্বামী মাহাবুব মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ না থাকায় মেয়ের বাবার জিম্মায় মাহাবুবকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মৃত্যু নিয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকলেও মৃত্যু নিয়ে পুলিশের সন্দেহ থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে মর্গে পাঠানো হয়।

তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, আঁখির এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় আঁখিকে।

আঁখির স্বামী মাহাবুব বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১৫ মিনিট পর ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ পান। ওই সময় দরজা ভেঙে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

আঁখির বাবা আবদুল হান্নান বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারো বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Share this post

scroll to top