এতোদিন হোয়াইট হাউসের ভেতরে কর্মকর্তারা মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাকে ততটা গুরুত্ব দেননি। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে পর্যন্ত মাস্ক পরেননি। অবশেষে তিন কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সবার যেন টনক নড়েছে। হোয়াইট হাউসে এখন বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ট্রাম্পও বলেছেন, সবারই মাস্ক পরা উচিত।
মহামারী করোনা ভাইরাসে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৮২ হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৪ লাখ। তারপরও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এতোদিন চলছিলেন কিছুটা অসতর্ক হয়েই। তবে শেষপর্যন্ত হোয়াইট হাউসেও ঢুকে গেছে করোনা।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত এক খানসামা, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত একজন সহকারীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আতংকিত হয়ে পড়েন সবাই। দুশ্চিন্তায় পড়ে যান স্বয়ং প্রেসিডেন্টও। এরপর থেকেই প্রতিদিনই ট্রাম্পসহ তার ঘনিষ্ঠজনকের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্টাফ অফিস। খবর বিবিসির
সোমবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, মাস্ক পরার নির্দেশ তিনিই দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউজে প্রতিদিন শত শত লোক আসছেন যাচ্ছেন। আমি মনে করি, মাস্ক পরাটা সবার জন্যই ভালো।
যদিও ব্রিফিংয়ে নিজেই মাস্ক পরেননি ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, তার মাস্ক পরার দরকার নেই। কারণ তিনি সবার থেকে সবসময় কিছুটা দুরেই থাকেন।
করোনার পরীক্ষা আরও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, রাজ্যগুলোতে আরও বেশি টেস্ট করানোর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে। চলতি মে মাসের জন্য ১১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে শুধু করোনা পরীক্ষার জন্যই। এ মাসে কোন রাজ্য কতগুলো পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, সেই ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানান ট্রাম্প।