নেত্রকোনায় এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আরো ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আজ সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবাইলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে কভিড-১৯ ধরা পড়ে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন নারী রয়েছেন।
আজ আক্রান্তদের মধ্যে কেন্দুয়ায় ছয়জন, বারহাট্টায় তিনজন, আটপাড়ায় একজন ও মদনে একজন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুজনের শরীরে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়। আজ সোমবার রাত ৯টা পযন্ত ৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও একজন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রয়েছেন। তাঁরা একই উপজেলায় কর্মরত।
বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে খালিয়াজুরিতে ৬ জন, মদনে ৭, কলমাকান্দায় ৪ জন, সদর উপজেলায় ৫ জন, মোহনগঞ্জে ১৫ জন, বারহাট্টায় ১৩ জন, আটপাড়ায় ১৪ জন, কেন্দুয়ায় ১১ জন, পূর্বধলায় ৭ জন ও দুর্গাপুরে ৩ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জনই পোশাককর্মী। বাকিদের মধ্যে একজন ইউএনও, ছয়জন চিকিৎসক, ১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে এনজিওকর্মী, ওষুধ প্রতিনিধি, রাজমিস্ত্রির সহযোগী, হাসপাতালের গাড়িচালক, গৃহিণী, কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার রয়েছেন।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম খান জানান, নেত্রকোনায় আজ রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ৮৫ জনের শরীরে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২৬ জন। সুস্থদের মধ্যে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক রয়েছেন।’
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, গত শনিবার ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবাইলজি বিভাগের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হলে প্রতিবেদনে পজিটিভ আসে। বিষয়টি ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।’-কালের কণ্ঠের সৌজন্যে