কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির নান্দাইল জোনাল অফিস দায়সারাভাবে অনুমান নির্ভর বিল প্রস্তুতের কারণে দিশেহারা হয়েছে গ্রাহকেরা। এক দিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাধারণ মানুষ গৃহবন্দি ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। নিন্ম থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সবাই যখন বেকার জীবন অতিবাহিত করছে, তখন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমন বর্গিমার্কা আচরণে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলে নান্দাইল পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে।
গ্রাহকরা আরো জানান, পল্লীবিদ্যুতের কর্মীরা অফিসে বসে বিল তৈরি করলেও তারা বাড়ি বাড়ি এসে বিল দিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ অবস্থায় কেউ কেউ ভূতরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ক্ষোভ আর অসন্তোষের ব্যাপারে জানতে চাইলে, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দাইল জোনাল অফিসের ডিজিএম উত্তম কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যুৎকর্মীরা গ্রাকদের বাড়ি যেতে পারেনি। তবে গত মাসের বিলের সাথে সামঞ্জস্য করে বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে কিছু গ্রাহকের বিল কম ও কিছু গ্রাহকের বিল অতিরিক্ত হতে পারে। কোন অসঙ্গতি থাকলে পরবর্তীতে তা সংশোধন বা সমন্বয় করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই কর্মকর্তার এমন দাবি মানতে নারাজ সাধারণ গ্রাহকেরা। সরকার যেখানে অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করেছে, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিলম্ব মাশুল মওকুফ করার ঘোষণা করেছে, সেখানে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ না বসিয়ে অনুমান নির্ভর বিল স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন তারা।