বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড ১৯ এ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও আক্রান্ত।সারা বিশ্ব আজ অদৃশ্য দানব করোনার ভীতিতে লকডাউন, ইউরোপ-আমেরিকাতে মৃত্যুর মিছিল, বাংলাদেশেও দুই শতাধিক লোক ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করছে।
এখন পর্যন্ত কোভিড ১৯ প্রতিরোধে কার্যকর ঔষধ বাজারে আসেনি।এমতাবস্থায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এই মহামারী ব্যাধি থেকে বাচার আপদকালীন পন্থা হিসেবে সামাজিক তথা শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
করোনা ভাইরাসজনিত কারণে জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এই ভয়াবহ ব্যাধির সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে এক অভিনব ফর্মূলা প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহভিত্তিক এনজিও “সেইভ দ্যা ফিউচার্স সমাজকল্যাণ সংস্থা”। এই সংস্থার সভাপতি অনিকা ইয়াসমিন লিরা’র নেতৃত্বে সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীগণ রবিবার ময়মনসিংহের নতুন বাজার মোড় ও মেছুয়া বাজার মোড়ে জনসমক্ষে তাদের গবেষণাধর্মী ফর্মূলা তুলে ধরেন। তারা বলেন, আমরা দৈনন্দিন জীবনে বহূল প্রচলিত যে “ছাতা” ব্যবহার করি,সেটি এই মানবিক বিপর্যয়ে আমাদের মহামূল্যবান প্রাণ বাঁচাতে পারে,স্ট্যান্ডার্ড সাইজের একটি ছাতা ব্যবহার করলে চতুর্দিকে ৩৬০ ডিগ্রী পরিবৃত থাকে,এতে করে সরকারের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশকা অনুযায়ী ৩ ফুট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় থাকে এবং ছাতার কাপড় পানিরোধী হওয়ায় কোন সংক্রমিত রোগীও যদি হাঁচি-কাশি দেয় ছাতা সেটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।তাই এই দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে কেউ বাইরে বের হলে কোন খরচ ছাড়াই ঘরে থাকা ব্যবহ্নত ছাতাটি নেয় বের হলে করোনার সংক্রমন রোধে এই আপদকালীন সময়ে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে। সেইভ দ্যা ফিউচারের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, সরকার এই বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাই করে কেউ জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে বের হলে তিনি যেনো ছাতা নিয়ে বের হন এব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করতে পারে এবং এই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সকলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে সংস্থাটির সহ-সভাপতি কাজী রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক তন্ময় শাহরিয়া,সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম খালেদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদির, দপ্তর সম্পাদক চৌধুরী আহম্মেদ তানজীব আমীর অনুপ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ শহরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে সংস্থাটি মসিক মেয়রের নিকট পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তর,পথ শিশুদের মাঝে হোমমেইড স্বাস্হ্যকর খাবার বিতরণ,কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, অভাবী মানুষকে নগদ অর্থ বিতরণ ও স্বাস্হ্যসেবা প্রদান করে সচেতন ময়মনসিংহবাসীর দৃষ্টি অাকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।