অবৈধ অভিবাসীদের জন্য গত এপ্রিল মাসে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে কুয়েত সরকার। এই সাধারণ ক্ষমায় কমপক্ষে ৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছে। আগামী ১২ মে ও ১৩ মে দুটি ফ্লাইটে অন্তত ৬০০ জন প্রবাসী দেশে ফিরবে।
এরপর ১৬, ১৭, ২১ ও ২২ মে কুয়েত এয়ারওয়েজ ও আল জাজিরা দুটি ফ্লাইটে সর্বমোট ১ হাজার ৮০০ প্রবাসীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সাধারণ ক্ষমায় নিবন্ধনকৃত প্রবাসীদের বিমান টিকেট ও থাকা-খাওয়া কুয়েত সরকার বহন করছে। এসব প্রবাসী পুনরায় নতুন ভিসায় কুয়েতে আসতে পারবে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমার আওয়তায় নিবন্ধনকৃত প্রবাসীদের আমরা যত দ্রুত দেশে পাঠানো যায় সেই চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে কিছু প্রবাসী তাদের থাকা-খাওয়া সমস্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে। আমরা সেটা কুয়েত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি।’
এস এম আবুল কালাম বলেন, ‘বয়স্ক, নারী ও শিশুদের আগে ফ্লাইট দিতে অনুরোধ জানিয়েছি। দেশে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ সরকারের শর্ত মোতাবেক এদেরকে কুয়েত সরকার কোভিড-১৯ সনদ প্রদান করবে। যাদের কাছে এই সনদ থাকবে না দেশে পৌঁছানোর পর তাদেরকে বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ধাপে ধাপে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হবে।’
রাষ্টদূত আরও বলেন, ‘করোনার পরিস্থিতির ফলে কুয়েতে প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসী কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ১০ প্রবাসী বাংলাদেশির সমস্যা একটু বেশি। আমরা তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার থেকে আসা ত্রাণ এবং এখানে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এখন পর্যন্ত আমরা কুয়েতে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার প্রবাসীকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, কুয়েত সরকার করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তার রোধে আজ রোববার বিকেল ৪টা থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেছে।