বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন দেশে বিনাবিচারে মানুষ মারা যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানান। কেন এভাবে বিনাবিচারে মানুষ মারা যাচ্ছে সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যসহ সরকারের কাছে আহবান জানান তিনি।
ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আর কয়েক দিন পর তো এ সরকারের আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই শেষ সময়ে শেষ সুযোগকে কাজে লাগাতে পরামর্শ দেন তিনি।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, এরা বিনাভোটে নির্বাচিত হলেও এখনো তারা একজন সংসদ সদস্য হিসেবেই বিবেচিত। তাই তাদের অবস্থান থেকে এখনো কিছু করতে পারেন তারা। কারণ আর কয়েকদিন পর তো সাধারণ পাবলিকে পরিণত হয়ে যাচ্ছে এসব সংসদ সদস্যরা। তাই যাবার আগে প্লিজ একটা কিছু করে যান। কারণ আপনারা তো বলছেন, দেশের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই বিনাবিচারে এভাবে যারা মারা যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিন, কিছু একটা করুন। তখন জাতিকে বলতে পারবেন, হ্যাঁ আমরা বিনাবিচারে হত্যার ব্যাপারে ক্ষমতার শেষ সময়েও পদক্ষেপ নিয়েছি।
এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভোট দেয়া নাগরিক অধিকার। এটা তো কোনো অপরাধ না। অপরদিকে দেশের বিভিন্ন নিউজ পোর্টালসহ ৫৮টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার খবরেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নুরল হুদা মিলু চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম, মানবাধিকার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহা: শাহজাহান, ড. ফরিদউদ্দিন ফরিদ, অধ্যাপক ড. অমিত আজাদ, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন তালুকদার মনিরুজ্জামান।