ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় জালাল উদ্দিন খোকা নামের ট্রাফিক কনস্টেবলের। তিনি ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে করোনাভাইরাস সাত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হল। জালাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার উড়াহাট গ্রামে। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা এই কনস্টেবলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশের ঢাকা মহানগর ট্রাফিক (পূর্ব) বিভাগের উপকমিশনার শাহেদ আল মাসুদ জানান, নমুনা পরীক্ষায় গত ২৬ এপ্রিল কনস্টেবল জালালের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেদিন থেকে তিনি পুলিশ হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন।
পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৭ সদস্য মারা গেলেন।
কনস্টেবল জালাল উদ্দীন খোকার মৃত্যুর ঘটনায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবাণীতে আইজিপি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে আজ জীবন দিলেন বীর পুলিশ সদস্য জালাল উদ্দীন খোকা। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে জীবন দিয়ে জনসেবা এবং ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আমি এ গর্বিত পুলিশ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
আইজিপি জালাল উদ্দীন খোকার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোতভাবে আপনাদের পাশে থাকবে।’ তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
করোনাভাইরাসে পুলিশের ১৩শর বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে বেসরকারি একটি হাসপাতালও বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।