গাজীপুরে কারোনাভাইরাসে আক্রান্ত ভেবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা না পেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক কিশোর সড়কের পাশে মরে কয়েক ঘন্টা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে দাফন করেছে। তার নাম ইউসুফ হোসেন (১৫)। সে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার মান্দাইটা গ্রামের সাহামুদ্দিনের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের এডিসি (উত্তর) আবু লাইচ মো. ইলিয়াচ জিকু জানান, গাজীপুর মহানগরের চান্দনা এলাকায় ভাড়া থেকে ওই কিশোর লেগুনা পরিবহনে হেলপারের কাজ করতো। বৃহস্পতিবার তার কয়েকবার বমি ও পাতলা পায়খানা হলে ভাড়া বাড়ির মালিকের কাছ থেকে ১৫০টাকা ধার নিয়ে চিকিৎসা নিতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল) যায়। কিন্তু সেখানে বর্তমানে কোভিড-১৯ রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়না জানতে পেরে অন্য ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে করোনা রোগী ভেবে কেউ চিকিৎসা দিতে রাজি হয়নি।
পরে সে একটি রিকশাভ্যান ভাড়া করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। পথে ভ্যানের উপর মারা গেলে চান্দনা এলাকায় আজোয়া কফি হাউজের সামনে ঢাকা-গাজীপুর সড়কের পাশে ওই কিশোরের লাশটি ফেলে রেখে ভ্যান চালক পালিয়ে যায়।
সড়কের পাশে কয়েক ঘন্টা লাশটি পড়ে থাকলেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে কেউ কাছে যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয় জালাল উদ্দিন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন জিএমপি’র বাসন থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এসময় তার এক রুমমেট পুলিশের কাছে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় ও তার রোগ সম্পর্কে ধারণা দেন। পরে পুলিশ নিহতের স্বজনদের খবর দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও স্বজনরা না আসায় পুলিশ নিহতের লাশ গাজীপুর মহানগরের ইটাহাটা এলাকার কবরস্থানে দাফন করে।