একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাকি আছে আর মাত্র ১৯ দিন। এ সময় তার কথা নির্বাচনী প্রচারে। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে সারা দেশেই তার সফর করার কথা। কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ (সোমবার) রাতেই সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার একান্ত সচিব ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আজ (সোমবার) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার সঙ্গে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও তার ভাগনে জামাই জিয়াউদ্দিন বাবলুও যাবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের অসুস্থতা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এরশাদ সত্যি সত্যিই অসুস্থ।
নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেই হঠাৎ ৬ ডিসেম্বর বনানী কার্যালয়ের সামনে হাজির হন এরশাদ। গাড়িতে বসেই তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
এর আগে সর্বশেষ গত ২০ নভেম্বর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে কথা বলেছিলেন তিনি। এরপর থেকে কখনও বাসায় কখনও সিএমএইচ-এ ভর্তি রয়েছেন। তার সাথে দলের সিনিয়র নেতারাও সাক্ষাৎ করতে পারছেন না বলে জাতীয় পার্টিতে গুঞ্জন রয়েছে। এরই মধ্যে তার দলের মহাসচিবের পরিবর্তন হয়েছে। তার বিশ্বস্ত রুহুল আমীন হাওলাদারকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সরকারের আস্থাভাজন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। আর হাওলাদারকে তার একান্ত সহকারি হিসেবে নিয়োগ দেন। যা দলের চেয়ারম্যানের পরই তার পদ থাকবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে মহাজোটে নির্বাচন করছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি ২৯ জন প্রার্থী মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তবে এর বাইরে ১৩২ আসনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে লড়বেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
এর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দীর্ঘদিন সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। তখনো তার অসুস্থ্যতা নিয়ে নানা রকম কথা-বার্তা ছড়িয়েছিল।