পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য দিতে শুরু করেছিল ইন্ডিয়ান মেটারোলজিক্যাস ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি। তাতে সাফ না করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। গিলগিট-বালতিস্তান সহ পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, নয়াদিল্লির সেই দাবিকে সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারত নিজের বলে দাবি করলেও, তা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। এই দাবি ভিত্তিহীন, বাস্তবসম্মত নয়। ভারত জোর করে রাজনৈতিক মানচিত্র তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। এই ধরণের অরাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হতে পারে ইসলামাবাদ, বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
শনিবার থেকেই দূরদর্শন, অল ইন্ডিয়া রেডিওতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আবহাওয়া তথ্য সম্প্রচার করার কথা ছিল। এই তথ্যে মিলত মীরপুর, মুজফফরাবাদ, গিলগিটের মতো এলাকার আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য। ভারতের এই পদক্ষেপে নারাজ পাকিস্তান। ভারত দাদাগিরি করতে চাইছে বলে মত ইসলামাবাদের। গত বছর ভারতের প্রকাশ করা এক মানচিত্রে জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে চিহ্নিত করা হয়, সেখানে কাশ্মীরের অংশ হিসেবে দেখানো হয় গিলগিট বালতিস্তান ও লাদাখকে।
এরই মধ্যে ইন্ডিয়ান মেটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট জানায় এবার থেকে পাক অধিক়ৃত কাশ্মীরের আবহাওয়ার যাবতীয় তথ্য দেওয়া হবে। কারণ তা ভারতের অংশ।
নিজেদের প্রকাশিত বুলেটিনে আইএমডি জানায় এবার থেকে জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট বালতিস্তান ও মুজফফরাবাদের আবহাওয়ার তথ্য দেওয়া হবে। উল্লেখ্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজজফরাবাদ ও গিলগিট বালতিস্তান পাকিস্তানের জবরদখল করা কাশ্মীরের অন্যতম অংশ।
এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যে এমনই খবর মেলে। জানা যায় শনিবার থেকেই এই পূর্বাভাস প্রকাশ করতে শুরু করবে আইএমডি। এর মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেয় পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাকিস্তানের উচিত ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানের ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুললে ভারত সেই প্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিয়েছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, গোটা জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং গিলগিট-বালতিস্তান ভীষণভাবে ভারতের অংশ। বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের এক্ষুনি সব অবৈধভাবে নেওয়া জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং সব জায়গা খালি করে দেওয়া উচিত। সূত্র : কলকাতা২৪x৭