আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরো ৪০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি এ জন্য তাদেরকে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে এবার ছয়টিতে ইভিএম করা হবে। গত ৫ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনকে চিঠি দিয়ে ইসি এই খাতে আরো ৪০০ কোটি টাকা চেয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগকে নির্বাচন কমিশনের উপপ্রধান মো: সাইফুল হক চৌধুরী এই চিঠি দেন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রথমে দেয়া ১১০ কোটি টাকার মধ্যে ১০৫ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ব্যয় হবে বলে ইসি জানায়।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন ইভিএম প্রকল্পটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় তিন হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির অনুমোদিত বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।
ইসি চিঠিতে বলেছে, এই অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ এক হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয়টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাই চলতি বছরের বরাদ্দ থেকে আরো ৩৯০ কোটি টাকা মূলধন খাতে এবং ১০ কোটি টাকা রাজস্ব খাতে মিলিয়ে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইভিএম ক্রয় এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য টাকা প্রকল্পের অনুকূলে ৪০০ কোটি বরাদ্দ প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসির নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ দিকে, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, ইভিএম প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য প্রথম পর্যায়ে আমরা ৮৪ হাজার ইভিএম কিনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। ইসি থেকে প্রথম পর্যায়ের ইভিএম কিনতে চলতি অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয়কে দুই হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, বিষয়টি দ্রুত পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বলে দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।