তিনবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন শামি!

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং আক্রমণের প্রধান অস্ত্র মোহাম্মদ শামি। কিন্তু কয়েক বছর আগে সবকিছু কেমন তিতকুটে হয়ে ওঠেছিল তার জন্য। এমনকি বিষণ্নতার কারণে তিনবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী পেসার!

জাতীয় দলের সতীর্থ রোহিত শর্মার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামের এক লাইভ আলাপচারিতায় নিজের জীবনের অন্ধকার দিনগুলো সম্পর্কে বলেন শামি।

রোহিতের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতীয় পেসার স্মরণ করেন ২০১৫ বিশ্বকাপের কথা। সেবার চোটে পড়ে ১৮ মাস মাঠের বাইরে ছিলন তিনি। নিজের জীবনের সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক সেই সময়ের কথা স্মরণ করে শামি বলেন, ‘যখন ২০১৫ বিশ্বকাপে চোট পাই, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আমার ১৮ মাস লেগেছিল। ঐটাই আমার জীবনের সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্ত। ঐটা খুব হতাশাজনক সময় ছিল।’

এরপরই তিনি এক জটিল পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়ান। স্ত্রীর সঙ্গে সেই দ্বন্দ্ব আদালতে গড়িয়েছিল। ব্যক্তিগত সেই সমস্যার কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাকে। অবশ্য নিজের পারফর্ম্যান্স দেখিয়ে ফের দলে ফেরেন তিনি। সেই সম্পর্কে শামি বলেন, ‘যখন আমি খেলা শুরু করি, আমাকে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। আমি মনে করি, আমার পরিবার যদি সমর্থন না দিতো তবে আমার পুনরায় ফেরা হতো না। আমি তিনবার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলাম।’

তার স্ত্রীর তোলা যৌতুকের দাবি, ঘরোয়া নির্যাতন এবং ২০১৮ সালের মার্চে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযোগে জীবন তছনছ হয়ে যেতে বসেছিল শামির। তদন্ত চলাকালীন বিসিসিআই’য়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিও স্থগিত হয়ে গিয়েছিল তার। অবশ্য পরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে রেহাই পান তিনি।

একের পর এক সমস্যায় জড়ালেও পরিবারের সমর্থনে পথ হারাননি জানিয়ে শামি বলেন, ‘পরিবারের কেউ না কেউ ৭ দিনের ২৪ ঘন্টাই আমার সঙ্গে থাকতো। মানসিকভাবে আমি ভালো ছিলাম না। আমার পরিবার আমার সঙ্গে ছিল। আপনার পরিবার যদি সবসময় আপনার সঙ্গে থাকে তবে যেকোনো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন আপনি। যদি পরিবার সঙ্গে না থাকতো তবে কোনো এক খারাপ পদক্ষেপ নিয়ে নিতাম। আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই, আমার সঙ্গে থাকার জন্য।

Share this post

scroll to top