নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় একটি জঙ্গলের গর্ত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মণি আক্তার (১২) নামের এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ তার উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে স্কুলছাত্রী মণিকে হত্যা করা হয়েছে। মণি আক্তার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের আবদুল মন্নাফের মেয়ে। সে একই গ্রামের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, মণির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মণি ও তার কয়েকজন সহপাঠী মিলে পাশের নয়পাড়া গ্রামের তালেব আলীর কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে মণি বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বেলা পৌনে ১১টায় ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়া শেষে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বের হয়। এরপর সে বাড়িতে আর ফিরে আসেনি। তাদের বাড়ি থেকে ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ি প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের হাঁটার পথ। মণির বাড়িতে আসতে দেরি হওয়ায় দুপুরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে রাতে স্থানীয় ফকিরের বাজারে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। আজ সকাল পৌনে ১১টায় স্থানীয় লোকজন একই গ্রামের মান্দারতলা এলাকায় একটি বাড়ির পেছনে জঙ্গলের গর্তে মণির হাত-পা বাঁধা লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এস এম আশরাফুল আলম, বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ বেলা একটায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আকবর আলী বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, হাত-পা বেঁধে ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন সিনড্রম দেখে মনে হচ্ছে, তাকে ধর্ষণও করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর তা স্পষ্ট হওয়া যাবে। আমরা সবকিছু মাথায় নিয়ে কাজ করছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’