চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার একটি আরএনএ পিসিআর মেশিন ধার করে এনেছে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। মেশিনটি বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরে এসে পৌঁছেছে। ‘ধার’ হিসেবে সিভাসু থেকে জামালপুর পাঠানো এই পিসিআরটি মেশিনটি জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে সংযোজন ও স্থাপন করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
করোনাভাইরাসের নমুনার স্তুপ জমে যাওয়া চট্টগ্রামে যখন আরও বেশি করে পরীক্ষা বাড়ানো নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে, তখন এমন সিদ্ধান্তে করোনা পরীক্ষায় গতি কমে যাবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, ‘আমাদের দুটো পিসিআর এখন করোনার পরীক্ষায় কাজ করছে। একটা পিসিআরে ২ ঘন্টায় ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। ১২ ঘন্টাতে তাহলে একটা মেশিন দিয়েই প্রায় ৬০০টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। এখানে বেশি সময় লাগে হচ্ছে আরএনএ। নমুনা আরএনএ করে মেশিনে দেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ। এটা করার জন্য লোকবল হলে এই দুটো মেশিন দিয়েই চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ টেস্ট করানো সম্ভব।’
সিভাসুর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশ্নে পিসিআর মেশিন নয় বরং লোকবল আর অর্থ বরাদ্দই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন ল্যাবটির ইনচার্জ অধ্যাপক ড. জুনায়েদ ছিদ্দিকীও। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ১০০ করে পরীক্ষা করতে পারছি। কিন্তু আমাদের মাত্র ৮ জন কর্মী আছে। যারা স্বেচ্ছাসেবী। এদের দিয়ে আমরা ১০-১৫ দিন কাজ করাতে পারবো হয়তো। রেগুলার কাজ করাতে হলে তাদেরও কিছু প্রণোদনা দেয়ার প্রয়োজন আছে।’
‘কিট, আর পিসিআর মেশিনের পাশাপাশি আমাদের কিছু দক্ষ লোকবল প্রয়োজন। অস্থায়ীভাবে ৩ মাসের জন্য হলেও কিছু টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিলে আমাদের কাজ করতে সুবিধে হতো। তাছাড়া যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন তাদের জন্য একটা নিয়মিত প্রণোদনার ব্যবস্থা করা গেলে ভাল হতো। আনুষঙ্গিক আরও কিছু খরচ আছে। যেমন প্রতিটা টেস্টের পিছনে কেমিক্যাল বাবদ আরও ১০০ টাকা খরচ আছে। এই বিষয়ে আমরা এখনো কোথাও থেকে কোন বরাদ্দ পাইনি।’
তবে সিভাসুর ল্যাবে টেস্টিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে ড. ছিদ্দিকী বলেন, ‘আজ (বুধবার) সিভিল সার্জন ল্যাব পরিদর্শন করে গেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও মেইল দিয়ে জানাতে চাওয়া হয়েছে আমাদের এখানে টেস্ট বাড়াতে হলে কী কী সাপোর্টের দরকার হবে? রাতে আমাদের প্রয়োজনীয়তাগুলো তুলে ধরে এর উত্তর দেবো আমরা।’