ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা শনাক্তের জন্য নমুনা পাঠাচ্ছে সিলেট বিভাগীয় প্রশাসন। এদিকে ময়মনসিংহ বিভাগের করোনার নমুনা শনাক্তে যেখানে হিমশিম পেতে হচ্ছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে, সেখানে সিলেটের নুমনা পরীক্ষায় আরো চাপ বাড়বে বলে মেডিকেল কলেজ সূত্র নিশ্চিত করেছে। গত কয়েকদিনে সিলেটের বেশ কিছু নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে ময়মনসিংহের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে। ইতোমধ্যে প্রায় আটশ’র অধিক নমুনা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য আটকে আছে বলে ল্যাব সূত্র নিশ্চিত করেছে। ময়মনসিংহের পাঁচশ নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলেও ময়মনসিংহের বাইরের নমুনাগুলো কি হিসেবে ময়মনসিংহ ল্যাবে আসছে তা নিয়েও সন্দিহান জেলার সচেতন মহল।
এদিকে ময়মনসিংহ বিভাগের করোনার নমুনা পরীক্ষায় ময়মনসিংহে স্থাপিত ল্যাবটিতে দুই ধাপে প্রতিদিন কার্যক্রম চালালেও চাপ সামলাতে পারছে না মেডিকল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যেকারণে গত ২৩ এপ্রিল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নিজস্ব আরটি-পিসিআর মেশিন ও যন্ত্রাংশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু অদ্যাবধি মেশিনটি স্থাপন করা না হওয়ায় যেই চাপ তাই রয়ে গেলো। এতে করে ময়মনসিংহ বিভাগের করোনার উদ্ধুধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও জনমনে শঙ্কা দিয়েচে। শুধু তাই নয়, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল থেকেও নমুনা আসছে ময়মনসিংহের এই ল্যাবটিতে।
এব্যাপারে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আক্রান্তদের ক্ষেত্রে পরপর দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে সুস্থ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ওসমানীর ল্যাবে চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখন হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআর ও ময়মনসিংহে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এজন্য ওসমানীর ল্যাবে ওই জেলার আক্রান্ত শনাক্ত হওয়া কমতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন এবং দুইজন সুস্থ হয়েছেন।