জামালপুরের ২৬ লাখ মানুষের সুরক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন হতে যাচ্ছে। আগামী ৩ মে জামালপুরে পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হবে। এখান থেকে করোনার পরীক্ষার ফল দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে। এতে করে আক্রান্তের খবর পাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার ফলে সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। মানুষের মাঝে সতর্কতা ও সচেতনতা সৃষ্টি হবে। ফলে করোনা টেস্টের জন্য জামালপুরের রোগীদের আর ময়মনসিংহে যেতে হবে না।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা পুলিশ বিভাগসহ সব পর্যায়ে নিরলস কাজ চলছে। এ পরিস্থিতিতে জামালপুরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য একটি ল্যাব স্থাপনের দাবি তোলা হয় তৃনমূল পর্যায় থেকে।
এরইমধ্যেই জামালপুরে করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন চট্রগ্রাম থেকে জামালপুরে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির পক্ষ থেকে (আরটি পি সিআর) মেশিনটি গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমান।
করোনা পরীক্ষার যন্ত্র রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেন রি-অ্যাকশন (আরটিপিসিআর) মেশিন বুধবার রাতে জামালপুরে এসে পৌঁছাবে। জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এটি গ্রহণ করবে।
আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এ মেশিনটির সংযোজন ও স্থাপন কাজ শুরু হবে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শফিকুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এর ফলে এখন থেকে রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য আর ময়মনসিংহে যেতে হবে না।
জামালপুরের ডিসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, জেলার সব মন্ত্রী ও এমপিদের নিয়ে আমরা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্তে ও তাদের দিকনির্দেশনায় জামালপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জামালপুরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের চাহিদা পত্র পাঠানো হয়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এতে সম্মতি দেয়।
সাবেক বন্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, করোনা প্রতিরোধে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জামালপুরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের বিষয়টি খুবই জরুরি ছিল। প্রতিদিনই আমাদের ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা সবসময় মানুষের সেবা দান করেন। তারা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্যই জরুরিভাবে ল্যাব স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে এখানেই দিনে দিনে পরীক্ষা করা হবে। প্রতিদিনের ফলাফল জামালপুরের পাশাপাশি ঢাকা পাঠানো হবে। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার কাজটি শুরু হলে বৃহত্তর জামালপুর জেলার, ২৬ লাখ লোকসহ আশপাশের জেলার প্রায় দেড় কোটি লোক উপকৃত হবেন। বিশেষ করে শেরপুর, কুড়িগ্রাম, রাজিবপুর এবং সিরাজগঞ্জ জামালপুরের কাছাকাছি হওয়াতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে যাতায়াত সহজ হবে।