ফিক্সিং : ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ উমর আকমল

পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান উমর আকমলকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ওই দেশের বোর্ড। দুর্নীতির অভিযোগে আগামী তিন বছর কোনো ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচও খেলতে পারবেন না উমর, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এমনই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ, ম্যাচ ফিক্সিং প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও উমর তা গোপন করেন। এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে তিনি কিছুই জানাননি বলে বোর্ডের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলে দেয়া হয়েছে। আর ওই কারণবশতই পাকিস্তান সুপার লিগেও তাকে খেলতে দেয়া হয়নি। যদিও ওই লিগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে থমকে যায়।

সূত্রের খবর, উমরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। সোমবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের প্রধান ফজল-এ-মিরান চৌহান তাকে সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন। পিসিবি মিডিয়ার পক্ষ থেকে ট্যুইট করেও জানানো হয়েছে এই খবর।

ভাইয়ের এই নির্বাসনের খবরে হতবাক ভাই কামরান আকমাল। উমর এই শাস্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন বলে তার দাবি। কামরানের কথায়, “ন্যায়বিচারের জন্য আমরা সব প্ল্যাটফর্মে যাব। এই অবস্থা থেকে যেভাবেই হোক আমরা বেরোবো।” পাশাপাশিই তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তথ্য গোপনের শাস্তি এত বড় হয় না।

কামরানের কথায়, “উমরকে কেন এত কঠিন শাস্তি দেয়া হলো, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।” তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে তিনি এবং তার পরিবার ভাইয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন বলে আরো জানিয়েছেন কামরান।

ভাবলেশহীন উমর বরাবরই রণংদেহি মেজাজের ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত। তার উইকেটকিপিংও বিশ্ব ক্রিকেটে যথেষ্ট সমাদৃত। পাকিস্তানের হয়ে ১৬টি টেস্ট, ১২১টি ওয়ান ডে ও ৮৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন উমর আকমল। দীর্ঘ দিন ভাই কামরান আকমলের পরিবর্তে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে উইকেটরক্ষকের ভূমিকাও পালন করে এসেছেন উমর।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উমর আকমল জানিয়েছেন, বুকিরা তাকে দুটি ডেলিভারি ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে দুই লাখ ডলার দেবে বলে জানিয়েছিল। পাশাপাশিই উমর এ-ও জানিয়েছেন যে, সেই প্রস্তাতে তিনি রাজি হননি। কিন্তু তথ্য গোপন করে গেছেন বলেই এই কঠিন শাস্তি ধেয়ে এলো তার জীবনে।

Share this post

scroll to top