একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ১৯ দফা প্রস্তাব করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিতসহ দেশ ও জনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রস্তাবিত এই ইশতেহারে। বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তাবিত এই ইশতেহার পাঠানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ১৯ দফা ইশতেহার প্রণয়ন করেছে তারা। শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদের অনুমোদনের পর দপ্তর সম্পাদক সাহেদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত ওই ইশতেহার কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
ঢাকায় পাঠানো ইশতেহারের দুইটি কপির মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে ঐক্যফ্রন্টের নতুন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং অপর কপিটি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বরাবর পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য দফাগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগনের অধিকার নিশ্চিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা পুন:প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা, কোটা সংস্কার, মেধা অনুযায়ী চাকুরী, রাজনৈতিক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গুম, খুন, গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, ছাত্রসংসদ নির্বাচন, শিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা অন্যতম। আগামী ৮ ডিসেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একক ইশতেহার ঘোষণার কথা রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ইবি শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ইশতেহারের ১৯ দফা প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন,‘দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনেই আমাদের এই ইশতেহার। আশা করি দেশের মানুষের আশা ও আকাঙ্খা প্রস্তাবিত এই ইশতেহারে প্রতিফলিত হবে।’
দপ্তর সম্পাদক সাহেদ আহম্মেদ বলেন,‘জাতির ক্রান্তিকালে ঘুরে দাঁড়াতে ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় সচেষ্ট। আশা করি জাতির কল্যাণমূলক দিকগুলো ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।’