ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে মঙ্গলবার দুই ধাপে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৩৪ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১জনের বাড়ি টাঙ্গাইলে। বাকি ৩৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের।
এদিকে মঙ্গলবারের কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর বাদে তিন জেলায় নতুন করে ১১ চিকিৎসক ৩৩জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ চিকিৎসক ও ৯ নার্স-আয়া রয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের আক্রান্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ২২জন ( ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ চিকিৎসক, নার্স, আয়া ও ক্লিনারসহ ১৪ জন। তারা হলেন ডা: মিরুফা তাসনিন (গাইনী), আইসিইউ ইউনিটের সিনিয়র স্টাফ নার্স মরিয়ম খাতুন, তন্দ্রা ড্রং ও বিলকিস বেগম, ক্লিনার রুবেল, মনি, ডায়ালাইসিস ইউনিটের মনিরুজ্জামান(৪০), নাসরীন পারভীন (৪৫), জরুরী ওয়ানস্টপ সার্ভিসের ডা: আফম মাহবুব হোসাইন (৪৫), ওয়ানস্টপ সার্ভিসের দেলোয়ার হোসাইন, মেহেরুননেসা (৫২), সহকারী রেজিস্ট্রার (গাইনী) ডা: কাশফিয়া বিনতে কাশেম, রেসিডেন্ট (গাইনী) ডা: মুশফিকা সুলতানা, ডা: জারজিনা নওশীন(ইন্টার্ন গাইনী), ময়মনসিংহ শহরের চড়পাড়ার ডা শুভন রহমান, মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ডাক্তারসহ ২জন, হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিক্যাল অফিসার ডা: খায়রুল ইসলাম জুয়েল, ফুলবাড়িয়ার উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা: মিজানুর রহমান, ত্রিশালের বইলর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ভবনের পাশের বাড়ীর জমসেদ আলী(৬৫), ফুলপুরের ২জনের একজন বালিয়া ইউনিয়নের বিলাসাটি গ্রামের ৩০ বছর বয়সী আলামিন ও বেলটিয়া বালিয়া গ্রামের ৫০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম। তাদের একজন কবিরাজ ও আরেকজন নাপিত)।
নেত্রকোনা জেলায় ৪জন (মোহনগঞ্জ উপজেলায় ০২ ( দুই) জন। এদের মধ্যে ২৮ বছর বয়সী নারী জবা রানী ও অন্যজন ২০ বছর বয়সী রিপন দাস, দু’ জনের বাড়ী সমাজ, মোহনগঞ্জ। গত ১২ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন তারা। অপরদিকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’জন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন ডা: দ্রুব সাহা রায় (২৫), ডা: আজহারুল ইসলাম(৩০) ও জামালপুর জেলায় সদর হাসপাতালের দুই ডাক্তারসহ ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এনিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬০ জন হলো। এর মধ্যে সদরে-২৯, গফরগাঁয়ে-১০, ঈশ্বরগঞ্জে-৭, মুক্তাগাছায়-৪, ফুলপুর-৩, হালুয়াঘাট-২, নান্দাইলে-২, ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া ও ত্রিশালে একজন করে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুলপুর ও ত্রিশালে মারা গেছে দুইজন। এছাড়া জামালপুর জেলায় ৩৫ জন, নেত্রকোনা জেলায় ৩৩ জন এবং শেরপুর জেলায় রয়েছেন ২৪ জন।