ভালুকা উপজেলা রয়েছে সর্বোচ্চ করোনা ঝুঁকিতে। যেকোন সময় করোনা মহামারি রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল ভালুকায় একজনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই এ ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদিওবা কয়েকদিন আগে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভালুকাকে নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
জানাযায়, ভালুকার খারুয়ালী গ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আবু হানিফ মিয়া। তার ছেলে রকিবুল হাসান রনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্য।
আবু হানিফ কিডনিতে সমস্যা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত পরশুদিনও রনি জানতো না তার বাবা করোনায় আক্রান্ত। পরশুদিন সে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তার বাবার কাছ থেকে সরারসরি ভালুকা যান এবং স্থানীয় প্রেসক্লাব থেকে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড গ্রহণ করেন। সেখানে তার সংস্পর্শে অনেকেই তার সাথে মেলামেশা করেছে এবং তার ব্যবহৃত কলম ব্যবহার করেছে অনেকেই। এখন রনির করোনা শনাক্ত হলে গোটা ভালুকায় ছড়িয়ে যেতে পারে করোনার বিস্তার। সেজন্য রকিবুল হাসান রনির সংস্পর্শে বা কাছাকাছি যারা ছিলেন তাদেরকে ‘সম্পুর্ণ আইসোলেশনে’ থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল।