প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে মহাবিপদেই পড়েছে অসহায়-দুস্থরা। সমাজের বিত্তশালী অনেকেই বিভিন্নভাবে তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। আর্থিকভাবে বা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে। ইতোমধ্যে ব্যক্তিগতভাবে সহায়তাও করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আবারো অসহায়-দুস্থদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন মুশফিক। তবে মুশফিকের এবারের এগিয়ে আসাটা ভিন্ন পন্থায়। আর সেটি হলো, ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি নিলামে তুলবেন মুশি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের আজ পর্যন্ত মারা গেছে ৯১জন মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছে, ২ হাজার ৪শ ৫৬জন। নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ অসহায়-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে গল’এ বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল-সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। ডাবল-সেঞ্চুরির দুর্দান্ত কীর্তির কারনে স্মৃতি হিসেবে ব্যাটটি নিজের কাছে রেখে দেন মুশি।
রোববার মুশফিক বলেন, ‘এই ব্যাটটি আমার কাছে খুবই স্পেশাল। ডাবল-সেঞ্চুরি আমার হৃদয়ে গেথে আছে। সব সময় দেশের জন্য প্রথম হওয়া যায় না। তাই আপনি বুঝতে পারবেন যে, এটি আমার কাছে কতটা স্পেশাল। তবে মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়। তাই এটিকে আমি নিলামে তুলবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ যদি মানুষের সহায়তায় আসে, তবে এটি দারুন অর্জন হবে।’
ব্যাটটি ডিজিটাল উপায়ে নিলামে তোলা হবে, এজন্য প্রক্রিয়া চলছে।
একজন ক্রিকেটার জানান, মুশফিকুরের মত অনেক খেলোয়াড়রা তাদের স্মরনীয় সরঞ্জামাদি ও ব্যাট নিলামে তুলছেন ।
অসহায়-দুস্থদের সাহায্যর্থে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় জশ বাটলার ইতোমধ্যে তার স্মরনীয় একটি ব্যাট নিলামে তুলেছেন। যে ব্যাটটি দিয়ে গত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিলেন বাটলার। এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য ক্রিকেটাররা নিজ নিজ দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা ও সম্প্রতি দেশের হয়ে খেলা ক্রিকেটাররা নিজেদের এক মাসের বেতন দিয়ে একটি তহবিল গঠন করেন। যার পরিমান ছিলো প্রায় ২৬ লাখ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশের যুবারা ও ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটাররাও করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য দান করেছেন। সূত্র : বাসস