গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হলেও কমিটি নীরব থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, সকল প্রার্থীর অভিযোগ গুরুত্বের সাথে আমলে নিতে হবে।
আজ বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের উদ্বোধনীতে তিনি একথা বলেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো: রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গসহ নানা অপরাধের প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ আসা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি নীরব রয়েছে। তদন্ত কমিটির বিচারকদের নির্বাচনী মাঠে সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে এক পক্ষের আধিপত্য কখনোই কার্যকর হয় না। এজন্য সবাইকে নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করে আমরা জাতির কাছে দায়মুক্ত হতে চাই । এজন্য রাগ অনুরাগের ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
বেগম কবিতা খানম বলেন, নির্বাচন কমিশেনর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দেবে না কমিশন। এজন্য সকলকে আইনানুগ ও নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। আইনের ব্যাত্যয় ঘটলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, নিরপেক্ষ আইনানুগ ভাবে নির্বাচন করতে চায় কমিশন। আইনের প্রয়োগ অতি গুরুত্বপূর্ণ । সব রকম চাপ ভয় উপেক্ষা করে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন তিনি।