রমেকে দশম দফায় ১৮৬ নমুনায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

corona effected

দশম দফায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া ১৮৬টি নমুনার মধ্যে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । এরমধ্যে দিনাজপুরের সাত, গাইবান্ধায় চার, নীলফামারীতে ২, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে একজন করে। এ নিয়ে এই পিসিআর ল্যাবে ৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হল।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার এ কে এম নূর-উন-নবী লাইজু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুই দফায় ১৮৬ জনের নমুনার পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুইটি নমুনা আবারো পরীক্ষা করতে হবে। অন্যান্য পরীক্ষা করানো নমুনার মধ্যে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের সদর উপজেলায় তিনজন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় তিনজন, ফুলবাড়ী উপজেলায় একজন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চারজন, নীলফামারীর সূর ও ডিমলায় একজন করে এবং লালমনিরহাটের সদর ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় একজন করে শনাক্ত হয়েছে। এসব এলাকায় রোগীদের আইসোলেশন নেয়া এবং এলাকা লকডাউনের পরামর্শ দেয়া হয় বলেও জানান তিনি। এসব রোগীর বয়স সাত থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে। এর আগে ৯৪ টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়। এরা হলেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে একজন সাঘাটা একজন নীলফামারীর জলঢাকায় একজন এবং কুড়িগ্রামের রৌমারীতে একজন পজেটিভ হয়। এদের এদের সবার বয়স ১৭ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

অষ্টম দফায় রোববার সকাল ১০ টায় পিসিআর ল্যাবে ৮০ টি পরীক্ষা করে কোনো করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে শনিবার এই মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ঠাকুরগায়ের হরিপুর এর দুইজন এবং পীরগঞ্জের একজন। এছাড়াও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নীলফামারী ডিমলা,  লালমনিরহাট সদরের একজন করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের একজনের বয়স ৫৭ বছর। আর বাকি ৫ জনের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ওই বৃদ্ধ ছাড়া বাকি পাঁচজন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত।

এর আগে সপ্তম দফায় পরীক্ষা করা ৯৩ জনের মধ্যে কারো শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ষষ্ঠ দফায় ৮৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় এরমধ্যে একজনের করো না শনাক্ত হয় । তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরের ২নং ওয়ার্ডের কালীঘাট মধুপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত। এছাড়াও চতুর্থ দফায় পরীক্ষা করা ৫৬ টির মধ্যে একজনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাট এর খন্দকার পাড়ার একজন ছাত্র। এর আগে তৃতীয় দফায় ৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়াও দ্বিতীয় দফায় ২৭ টি ও প্রথমবারের মতো ৪২ টি জমা পড়া নমুনা দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, তাতে কেউ করোনা শনাক্ত হয়নি।

Share this post

scroll to top