আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে বিএনপির লোকও আছে, আওয়ামী লীগের লোকও আছে। বিভিন্ন দল থেকে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।
বেছে বেছে বিএনপির জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন—বিএনপির এ অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
আজ বুধবার সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেছে বেছে বিএনপির জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের ব্যাপারে তথ্য–প্রমাণ দিয়ে তাদের এটা বলতে হবে। অন্ধকারে ঢিল মারলে হবে না। নির্বাচন কমিশনে বিএনপির একজন কমিশনার আছে। আমাদেরও তো একজন।’ তিনি আরও বলেন, এখন যাঁরা নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠনের কথা বলেন, তাঁরা নির্বাচন বানচাল করতে চান। কারণ, এখন কমিশন পুনরায় গঠনের কোনো বাস্তবসম্মত অবস্থা নেই।
বিএনপি মনোনয়ন–বাণিজ্য করেছে অভিযোগ করে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে গণহারে মনোনয়ন–বাণিজ্য করেছে বিএনপি। তাদের ১৪১ জন বাদ যাওয়ার পরও ৫৫৫ জন এখনো রয়ে গেছেন। আমরা মাত্র ১৬ জনকে ডাবল মনোনয়ন দিয়েছি, এর মধ্যে তিনজন বাদ গেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি বিএনপির অস্থিমজ্জার সঙ্গে মিশে আছে। দুর্নীতির জন্য এ দলের খ্যাতি। দলটি দুর্গন্ধ, দুর্নীতি এখনো ছড়াচ্ছে। ক্ষমতায় এলে আরেকটা হাওয়া ভবন হবে। এই দল দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কানাডার ফেডারেল আদালত এ দলকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে। সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ দলের দুর্নাম বিএনপি কীভাবে মুছবে?
সাংবাদিকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘এত মনোনয়ন দেওয়া বিএনপির সাংগঠনিক দেউলিয়াত্বের পরিচয়। সংগঠনে কোনো শৃঙ্খলা নেই। শৃঙ্খলা থাকলে এভাবে মনোনয়ন–বাণিজ্য হয় নাকি? বিতর্কিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার অর্থ হচ্ছে টাকা-পয়সার জোগানটা বেশি দেওয়া। বিতর্কিত হলেই তো টাকা-পয়সা বেশি দেবে। এর সঙ্গে নির্বাচন বানচালের কৌশল আছে বলে মনে করি না। তবে বিভিন্নভাবে বিএনপি নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের পদ চলে চাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘এটা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এরশাদ সাহেব কাকে রাখবেন, কাকে রাখবেন না—এটা তাঁদের গঠনতন্ত্রে আছে। বিএনপির অবস্থাও তা-ই। চেয়ারপারসন চাইলে এক খোঁচায় ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বাদ দিতে পারেন। আওয়ামী লীগে এ সিস্টেম নেই। আওয়ামী লীগের একটি নিয়ম আছে। আওয়ামী লীগ কাউকে বাদ দিতে চাইলে কাউন্সিল ডাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে বাদ দিতে হলে কাউন্সিলে পাস করাতে হবে।