গাজীপুরের এক করোনা আক্রান্ত রোগী তথ্য গোপন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসকরা তাকে করোনা শনাক্তের জন্য এসকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার দেহে করোনা ধরা পড়ে। ওই রোগী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকায় ওয়ার্ডটি ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে ওয়ার্ডের ১৫ রোগীকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা জানাজানির পর সোমবার রাতেই এই ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, হাসপাতালের কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্সদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। তাদের সকলকে হোম কোয়ারিন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষী নারায়ণ মজুমদার বলেন, গাজীপুর থেকে পালিয়ে তথ্য গোপন করে এক রোগী ২ দিন আগে হাসপাতালের ১৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। পরে তার দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ৪২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। তাঁর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাই ১৪নং ওয়ার্ডটি লকডাউন করা হয়েছে এবং করোনা আক্রান্ত ওই রোগীসহ ওয়ার্ডের ১৪জন রোগীকে এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহে আসা আরো তিন রোগীকে এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে ২৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।