মৎস্য খাতের সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে মৎস্য শিল্প গ্রাম বলে স্বীকৃত ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা। দেশে মোট মাছ চাষের প্রায় ৩৮ শতাংশ মাছ চাষ হয়ে থাকে এই জেলায়। যার মধ্যে ২২ শতাংশ আসে ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য চাষির হ্যাচারি ও খামার থেকে।
করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় এই এলাকার মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য চাষি ও মাছ ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা গ্রামে রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক মাছের হ্যাচারি ও নার্সারি। এ সকল হ্যাচারি ও নার্সারি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ও পোনা উৎপন্ন করা হয়। উৎপাদিত এ রেণু ও পোনা সমূহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মাছ দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে পড়েছে ভাটা। সারাদেশে যানবাহণ বন্ধ থাকায় এই এলাকার মাছ পরিবহণ করতে পারছেনা ফলে লোকসানে পড়ছে এই অঞ্চলের মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
এলাকার এক সফল মৎস্য চাষী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধলার মানুষ মৎস্য চাষ করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। এসময় তিনি এই পরস্থিতির কারণে লোকসান কমাতে সরকারের প্রয়োজনীয় সহায়তা কামনা করেন।
এশিয়া সায়েন্টিফিক ফিস হ্যাচারি প্রোপাইটার রফিকুল ইসলাম বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা গ্রামে ১৯৮০ সালের পর থেকেই বাণিজ্যক ভিত্তিতে মৎস্য খামার গড়ে উঠে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে খামার গুলো এখন তাদের অধিক অর্থে উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে রেণু ও পোনা উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং আমাদের প্রত্যেকটি হ্যাচারিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।