নেত্রকোনায় ৯ মাস আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি ওএমএস এর চাল তুলেছেন। আশ্চর্য হলেও সত্য। প্রায় নয় মাস আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার চাঁপুর গ্রামের আবদুল হামিদ মারা গেলেও খোলা বাজারে বিক্রয় হওয়া ওএমএস’র চাল তুলছেন কয়েকদিন আগে।
জানাযায়, আমতোলা বোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মাস্টার একটি তালিকায় মৃত হামিদের নামে চাল তুলছেন। চলতি বছরের ২ মার্চ কেন্দুয়া উপজেলা শাখার যুবলীগগের প্রাক্তন আহবায়ক হাবিবুর রহমান ওএমএস চালের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন।
এই খবর ছড়িয়েপড়লে লোকজনের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, মৃত ব্যক্তি কিভাবে জীবিত হয়ে চাল তুলতে পারে! এঘটনায় ডিলার হাবিবুর রহমান আত্মগোপনে যান।
হামিদের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন জানান, তার স্বামী নয় মাস আগে মারা গিয়েছেন এবং তাঁর জীবদ্দশায় তিনি ওএমএস ভাতের জন্য তালিকাভুক্ত হননি। ব্যাপারী তাদের বিষয়টি অবহিত করেনি।
কেন্দুয়া থানার ওসি জানান, ওই তালিকায় আরও ‘ভুয়া নাম’ ও চাল ওজনের সময় চালের অনুপযুক্ত অভিযোগ রয়েছে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইউরান রুহুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) খবিরুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দু’দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।