শেরপুরের ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় তার সংর্স্পশে আসা ডাক্তার, নার্সসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ৯এপ্রিল রাতে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অথচ তার উপসর্গ দেখে কেউই ভাবেনি তিনি করোনায় আক্রান্ত। প্রতিদিন করোনা উপসর্গের রোগীদের নমুনা পাঠানো বাধ্যতামূলক। তাই গত ৮ এপ্রিল শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কোন রোগী না পাওয়ায় অবশেষে নিয়মটি বাধ্যতামূলক হওয়ায় নিজের ড্রাইভারকেই বেছে নেন ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। অবশেষে ড্রাইভারের দেহে ধরা পরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি। অথচ এই ড্রাইভারকে নিয়েই বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন রোগীর স্যাম্পল থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
অভিযোগ ওঠেছে, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক অন্যান্য চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে রোগীদের নমুনা সংগ্রহে চালকের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ৮এপ্রিল ওই চালকের নমুনা সংগ্রহের পরও করোনাভাইরাস সম্পর্কিত দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেননি। বরং ওই চালককে সাথে নিয়ে করোনা উপসর্গের রোগীদের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
অন্যদিকে প্রমাণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন করোনা উপসর্গের রোগীদের নমুনা পাঠানো বাধ্যতামূলক। ৮এপ্রিল রোগী না পাওয়া যাওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের নমুনা পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি তিনি করোনা পজিটিভ। তার দেহে করোনার কোন উপসর্গ ছিল না। তাই তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি।
তিনি আরো বলেন, উপসর্গ থাকলে অবশ্যই তার সঙ্গে যাতায়াত করতাম না। ৮ ও ৯ এপ্রিল অ্যাম্বুলেন্সে তার পাশের সিটে বসে যাতায়াত করেছি। রিপোর্ট ভুলও হতে পারে। তাই তার নমুনা পুনরায় পরীক্ষার জন্য শনিবার (১১এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হবে। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মীদেরও নমুনা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।