জামালপুরে আ’লীগ নেতার গুদাম থেকে ৭৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার

জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য সদর থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান দুলালের গুদাম থেকে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিয়ারা পলাশতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহমুদা বেগম।

এদিকে একই দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের চিকারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে ৩০ বস্তা চোরাই চাল উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন। এসব চাল হতদরিদ্রের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির। উদ্ধারের পর চালগুলো নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এঘটনায় ওই এলাকার ডিলার লুৎফর রহমানসহ কালোবাজারী আসাদুল্লাহ ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ারা পলাশতলা বাজারের একটি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার শাহবাজপুরের চিকারপাড়া গ্রামের চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কালোবাজারে বিক্রিকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ বস্তা চাল তিনটি ইজিবাইকে করে অন্যত্র নেওয়ার প্রস্তুত চলছিল এমন সময় এসব চাল উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ছিল ৫০ কেজি করে চাল। কিন্তু এসময় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ওই চালগুলো রাখে আসাদুল্লাহ নামে অপর এক চাল ব্যবসায়ী- এ তথ্য জানায় বিশ্বস্ত একটি সূত্র। চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ এবং ওই এলাকার ডিলার লুৎফর রহমান পলাতক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, খাদ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকৃত ৩০ বস্তা চাল খাদ্য গুদাম থেকে বরাদ্দ করা। এঘটনায় ওই এলাকার ডিলার লুৎফর রহমানসহ কালোবাজারী আসাদুল্লাহ ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share this post

scroll to top