করোনা ওয়ার্ড থেকে পালিয়েছে ২ রোগী

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে দুই রোগী পালিয়ে গেছেন। সোমবার ও মঙ্গলবার তাঁরা পালিয়ে যান বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা। তবে বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় জানাজানি হয়। এরপর করোনা ওয়ার্ডের ফটকে পুলিশ মোতায়েনের জন্য লিখিত আবেদন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুঠোফোনে  তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি কখন পালিয়েছেন তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, একজন সোমবার দুপুরে মধ্যে, অপরজন মঙ্গলবার সকালে কৌশলে পালিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা ওয়ার্ডে যারা ভর্তি থাকেন, তাঁরা খুবই আতঙ্কে ভোগেন। মানসিক অস্থিরতা থেকে সারাক্ষণ ডাকচিৎকার করতে থাকেন। এমন অস্থিরতা আর আতঙ্কের কারণেই দুই দুজন পালিয়েছেন বলে ধারণা বাকির হোসেনের। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। লিখিত আবেদনে করোনা ওয়ার্ডে পাহারার জন্য পুলিশসদস্য চেয়েছি।’

হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৪ এপ্রিল বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে জ্বর, গলাব্যথা ও কাশি নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন ৬৫ বছর বয়স্ক নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে ৫ এপ্রিল দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটে জ্বর, গলাব্যথা ও কাশি নিয়ে একই ওয়ার্ডে ভর্তি হন ৩৫ বছর বয়সী নাদিরা বেগম। তাঁর বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ছোট লবণগোলা গ্রামে। সোমবার থেকে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে এমন ঘটনা রোধে তারা তৎপর হয়েছে। দুজনের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাতে করোনা ওয়ার্ডের ফটকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় তিন পালায় সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য মোট ছয়জন পুলিশ সদস্য মোতায়েনের অনুরোধ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার মো. শাহবুদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই রোগীদের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করতে তাঁরা তৎপর হয়েছেন। তাঁদের বাড়ির ঠিকানা অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন যথাযথ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

Share this post

scroll to top