যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস নিরাময়ে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দুই বাংলাদেশি। ফেডারেল ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডডিএর ছাড়পত্র ছিল না তবুও এমন ওষুধ প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছেন তারা। যদিও এ ওষুধ প্রয়োগের আগে স্বজনের লিখিত অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে জানান করোনা ভাইরাস নিরাময়ে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বাংলাদেশি ওই চিকিৎসক। ডা. আলম নামের এই চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।
সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী চিকিৎসকরা হলেন ডা. মোহাম্মদ আলম এবং ডা. রায়হান সাদি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার আশা সঞ্চার করা এই দুই চিকিৎসক আমেরিকান মিডিয়ার আলোচনায় উঠে এসেছেন। নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লং আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে রক্রমিত রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহম্মদ আলম করোনা রোগে আক্রান্ত ৮১ জন প্রবীন চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন। ডা. মোহম্মদ আলমের অধীনে থাকা লং আয়ারল্যান্ডের তিনটি নার্সিং হোমের ৪৭ রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন।
যার মধ্যে ৩৮ জনই সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ২ জন। গত ৪ এপ্রিল বিকেলে নিউইয়র্ক পোস্টে ‘লং আইল্যান্ড ডক্টর ট্রাইজ নিউ টুইস্ট অন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ফর অ্যাল্ডার্লি কভিড-১৯ প্যাশেন্টস’ (Long Island doctor tries new twist on hydroxychloroquine for elderly COVID-19 patients) শিরোনামে এক প্রতিবেদনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী ডা. আলম বলেন বহুল পরিচিত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং জীবণুনাশক এজিথ্রোমাইসিন একই সাথে তিনি রোগীর ওপর প্রয়োগ করতে চাননি। তাহলে ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধারণ করতে পারে বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে। কারণ করোনায় আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশ হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ আরো জটিল রোগে আক্রান্ত থাকতে পারেন।
এসব রোগীদের জীবন বিপন্ন করতে চাইনি উল্লেখ করে ডা. আলম বলেন, আমরা আগেই এফডিএ থেকে জেনেছি এজিথ্রোমাইসিন প্রয়োগের ফলে রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। নার্সিহোমের এসব রোগীদের বেশিরভাগই হাইপারটেনশন করোনা আর্টারি ডিজিস হৃদযন্ত্র অচল হয়ে পড়ার মত জটিল রোগে আক্রান্ত। এসব কারণেই তারা নার্সিংহোমে অবস্থান করছেন সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের নজরে থাকতে। রোগীর বয়স ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আলোচনা সাপেক্ষে এজিথ্রোমাইসিনের পরিবর্তে বহু পুরোনো একটি এন্টিবায়োটিক যেটি হৃদযন্ত্র বিকল করার জন্য চিহ্নিত নয় এমন একটি ওষুধ প্রয়োগ করেন তিনি।
ডা. আলম বলেন ডক্সিসাইক্লিন ও এজিথ্রোমাইসিনের মত অ্যান্টি ইনফ্লয়ামেটারি এবং এর নিরাপত্তাা নিয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই। এই অবস্থায় আমি সিদ্ধান্ত নেই কেনো এটির প্রয়োগ করবো না। নার্সিংহোমের সীমিত সম্পদ নিয়েই মরনাপন্ন রোগীর জন্য কিছু করা পদক্ষেপ নেন বলে উল্লেখ করেন ডা. আলম। অন্যদিকে তার রোগীর ৪৫ জনআ ছিলেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তারা উচ্চমাত্রায় জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন সং।গে কফ কাশির যন্ত্রণা। ওষুধগুলো নিজ সিদ্ধান্তে প্রয়োগের আগে রোগীর স্বজনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেন তিনি। কারণ এসব ওষুধ প্রয়োগের জন্য এখন পর্যন্ত ফেডারেল ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডডিএ’র কোনো ছাড়পত্র মেলেনি।