ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ময়মনসিংহ বিভাগের ২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এপিবিএন’র কনস্টেবল ও জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের আরেকজন রয়েছেন। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এপিবিএন’র কনস্টেবলের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় বুধবার সন্ধ্যা থেকে ৪৩৪ সদস্যসহ মুক্তাগাছা এপিবিএন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন।
এব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সালমা আহমাদ ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা শনাক্ত হওয়া দুজনেই পুরুষ। একজন মুক্তাগাছার এপিবিএনএর পুলিশ সদস্য, আরেকজন জামালপুরের মাদারগঞ্জের। তাদের মধ্যে কেউই বিদেশ ফেরত ছিলেন না। তারা স্থানীয়ভাবেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে তাদের যেসব উপসর্গ রয়েছে উল্লেখ করে পাঠানো হয়েছিলো তাতে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি রয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বুঝা কঠিন ছিলো। স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো শুধু এলাকার নাম লিখেই স্যাম্পল পাঠিয়ে দেয়। তাদের উচিত উপসর্গগুলোও লিখে পাঠানো। তাহলে আমাদের পক্ষেও কাজ করা সহজ হয়।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে বুধবার ৫০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার এপিবিএন এর একজন কনস্টেবল এবং অপরজন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের। খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর মুক্তাগাছা এপিবিএন লকডাউন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের ওই কনস্টেবল গত মাসের শেষ দিকে ঢাকার (স্পেশাল পুলিশ ব্যাটালিয়ন )এসপিবিএন থেকে বদলি হয়ে ময়মনসিংহ এপিবিএন এ যোগদেন।
এদিকে বিভাগের মাদারগঞ্জ উপজেলার করোনায় আক্রান্তকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে জামালপুরের সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে।