নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরও এক যুবকের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ওই বাড়িটিসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জের কিসমত বারেগা এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। এর পর ওই ব্যক্তির মৃতদেহের কাছে স্বজনসহ কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
এর আগে রোববার ভোরে একই উপজেলার হুগলা ইউনিয়নে একই সমস্যা নিয়ে এক নারীর (৫০) মৃত্যু হয়।
প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, ওই ব্যক্তি গত বুধবার থেকে হঠাৎ করে জ্বর ও কাশি সমস্যায় ভুগছিলেন।
রোববার থেকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা সোমবার সকালে তার রক্ত সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ওই বাড়িটিসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন করা হয়।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, ওই যুবকের মৃত্যুতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এ কারণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে সাতটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
আর মৃতদেহের কাছে কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পোশাক পরে মৃতদেহ দাফন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে। এর আগ পর্যন্ত ওই বাড়িটিসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন থাকবে।