সুনামগঞ্জে পাচারের সময় নৌকা ও ২টি ঠেলাগাড়িসহ পাঁচ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ ব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৬ নং পিলার সংলগ্ন বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল আলী ভান্ডারী কয়লা পাচারের জন্য চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১০০ টাকা, থানার নামে ৮০ টাকা চাঁদা নিয়ে মোট ১৫ মেট্রিক টন কয়লা ও ৭ কার্টন মদ ঠেলাগাড়ি দিয়ে চুনখলার হাওরে নিয়ে নৌকা বোঝাই করার সময় চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার আইয়ুব খান অভিযান চালিয়ে কাঠের বারকি নৌকা ও ২টি ঠেলাগাড়িসহ ৫ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা আটক করেন।
আর বাকি মালামাল নিয়ে চোরাচালানী আব্দুল আলী ভান্ডারী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
কিন্তু এই চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে মাদক, কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী কালাম মিয়া, জানু মিয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়া বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ারের নামে ১৫০ টাকা, থানার নামে ১২০ টাকা ও কয়লা চোরাচালান মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাকের নামে ৫০ টাকা চাঁদা নিয়ে ২০ মে. টন কয়লা ও ৫০০ পিছ ইয়াবা পাচার করে চুনাখলা হাওরে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে বানিয়াগাঁও ও তেলিগাঁও গ্রামে নিয়ে মজুত করার পরও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বালিয়াঘাট ক্যাম্প বিজিবি।
এছাড়া টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্প ও লাকমা দিয়ে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল ১০ মে. টন কয়লা ও ২০০ পিছ ইয়াবা পাচার করলেও তাদেরকে গ্রেফতার বা অবৈধ মালামাল আটক করা হয়নি।
বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের ১১৯৩ নং পিলার সংলগ্ন বাগলী এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মোস্তফা মিয়া মস্তো, হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়াগং সম্প্রতি ২০০ মে. টন কয়লা ও ২ হাজার মে. টন চুনাপাথর চোরাইপথে এনে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও এখনো পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আইয়ুব খান বলেন, নৌকা ও ঠেলাগাড়িসহ পাচারকৃত কয়লা আটক করা হয়েছে কিন্তু চেরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আনিসুল হক বলেন,পাচারকৃত মালামালসহ চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।