সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এর ভয়াবহতা রোধেই সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। রাস্তায় অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত এদেশে করোনা আক্রান্ত মানুষ এবং মৃত্যু সংখ্যা ততোটা বেশী নয় । যেমনটা ইতালী, স্পেন, ফ্রান্স, চীন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশে ছোবল দিয়েছে করোনা ভাইরাস। তা জানা হয়ে গেছে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে কাজ করা বিদেশী কোচরা। তাই তারাও অভয় দিচ্ছেন এদেশের জনগনকে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশের জনগন জয়ী হরে করোনার বিপক্ষে। যদি তারা নিয়ম মেনে চলে।
২০০৫ সালের সাফ ফুটবল এবং ২০০৬ এর এস এ গেমসে বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন আর্জেন্টিনার দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানী। এখন তিনি অবস্থান করছেন সুদূর আর্জেন্টিনায়। তার দেশও করোনায় আক্রান্ত। জাতীয় দলের পর ঢাকা আবাহনীতে কোচিং করা ক্রসিয়ানীর মতে, এই মহামারীতে থেকে মুক্তির জন্য সব বাংলাদেশীকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। সে সাথে যার যার বাড়ীতে করতে হবে অবস্থান। এটাই এখন একমাত্র উপায় এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া। সাথে তার পরামর্শ যার যার নিজের দায়িত্ব তার যত্ম নেয়া।
ক্রসিয়ানীর পরেই বাংলাদেশ দলের কোচ হন ভারতের সৈয়দ নঈমুদ্দিন। এর আগে ও পরে তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ ছিলেন। তা লম্বা সময়ের জন্য। অল্প সময়ের জন্য ছিলেন মোহামেডানের কোচ। নঈমুদ্দিন এখন অবস্থান করছেন ভারতের কোলকাতায়। করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে কোলকাতা সহ ভারত জুড়ে। বর্ষীয়ান এই কোচের মতে, মহান বাংলাদেশী জনগন প্রাণপণে চেষ্টা করছে এই করোনা ভাইরাসের বিপক্ষে যুদ্ধে জয়ী হতে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এবং ভারতে অচিরেই নিশ্চিহ্ন হবে এই করোনা। সাথে পুরো বিশ্ব থেকেও। সারা দুনিয়ারই এখন এই করোনার বিপক্ষে লড়াই করছে এটাকে পরাজিত করতে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন বেলজিয়ামের টম সেইন্টফিট। তার সময়েই অবশ্য বাংলাদেশের ফুটবলে ভুটানের কাছে হারের লজ্জ্বা। এখন তিনি আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়ার কোচ। বিয়ে করেছেন জিম্বাবুয়ের এক সাংবাদিককে। বর্তমানে অবস্থান করছেন বেলজিয়ামে। ইউরোপের এই দেশে ৭০৫ জন মারা গেছেন করোনায়। তাই সেইন্টফিটের পরামশর্, বিশ্বের অন্য দেশ গুলোর মতো প্রত্যেক বাংলাদেশীরাও যেন নিয়ম মেনে চলে। তাহলে খুব দ্রত এই ভাইরাস পৃথিবী থেকে দূর হয়ে যাবে। জানান , পুরো বিশ্বই এই করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মকে অবশ্যই সম্মান করতে হতে। কোনো ভাবেই একে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। আরো তথ্য দেন, আমার কর্মস্থল গাম্বিয়াতে করোনা আক্রান্ত লোকের পরিমান কম। তবে এই ভাইরাস দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের কিছু সময় বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন লর্ড উইগ ডি ক্রয়েফ। এই ডাচ এখন ব্যস্ত নিজ দেশে। বাংলাদেশী জনগনের প্রতি তার পরামর্শ, কর্তৃপক্ষ যে আইন করেছে এর শতভাগই মেনে চলতে হবে। কারোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে এই এ ক্ষেত্রে কোনো যুক্তি বা অজুহাতই কাজে আসবে না। আমার প্রত্যাশা বাংলাদেশের সব মানুষ সুস্থ থাকবে। জানান, শুধু ইউরোপ বা বিশ্বের অন্য প্রান্তের লোকই নয় করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।