সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাদ ; একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির দুইজনকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির যুগ্নআহবায়ক ও গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ ও ড্যাবের সহসভাপতি ডা. মো: আবদুস সেলিম। প্রিয় নেতার দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় হিরণ সমর্থিত নেতাকর্মী সহ তৃণমূলের মানুষজনের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন উপেক্ষা করে দলকে চাঙ্গা করে রেখেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর এই ত্যাগের মূল্যায়ন দিতে গৌরীপুরে প্রস্তুত তাঁর সমর্থকরা। মামলা-হামলা আর দলীয় কর্মসূচি পালনে ৫৭ মামলার আসামি আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। এবার হিরনের নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের ভোট বিপ্লব ঘটাতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। স্থানীয়রা জানান, হিরণের মনোনয়নে চিঠি পাওয়ার পরই সরগরম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন ।
পাল্টে গেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী হিসাব। বর্তমানে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব মহলে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনার ঝড়। সবাই বলছেন এখন জমবে নির্বাচনী মাঠ। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধ হবে হাড্ডাহাড্ডি। উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কোয়াছম উদ্দিন বলেন, দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হিরণ। হামলা-মামলা ও ক্ষমতাসীনদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হিরণের বিকল্প নেই।
আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ বলেন, সকলের দোয়া আমি ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছি। ‘নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এ আসনটি বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিব। এ জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা, সমর্থন ও দোয়া চাই।